কনটেক্সটঃ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, মিয়ানমার ইত্যাদি দেশে ধর্মীয় এবং নৃ-তাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন অহরহ হয়ে চলেছে। রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন করে তাদের মিয়ানমার থেকে বের করে দেয়ার পিছনে কারণ হিসেবে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয় আরাকান প্রদেশের মাটি উর্বর এবং তা সমুদ্রের পাশে হওয়ায় রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করে সম্পদ দখল করাকে সাব্যস্ত করা হয়েছে। একইভাবে ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর নির্যাতনের পিছনে তাদের সম্পদ দখল করার উদ্দেশ্য থাকে। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানেও হিন্দুদের উপর নির্যাতন করে তাদের তাড়িয়ে দিয়ে সম্পদ দখল করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় ঐতিহাসিকভাবে। পাহাড়ের অধিবাসীদের উপর বাঙালি স্যাটেলারদের আক্রমণের পিছনে একই রকম মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দাঁড় করানো সম্ভব। একই সাথে ধর্মীয় দাঙ্গায় ভিনধর্মের নারীদের ধর্ষণ করা এই অঞ্চলে স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত এইসব ধর্ষণের পিছনে উদ্দেশ্য থাকে প্রতিপক্ষের উপর শক্তি প্রয়োগ করা, তাদের ভীত করা। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী মেয়েরা পিতার সম্পত্তির অংশ পায় না, অর্থাৎ নারীদের স্থাবর সম্পত্তিতে সরাসরি উত্তরাধিকার থাকেনা। ভারতে এই নিয়মটি পরিবর্তন করে পিতার সম্পত্তিতে কন্যার অধিকার নিশ্চিত করা হলেও বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু নারীদের উপর লিঙ্গভিত্তিক সন্ত্রাস বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকায় হিন্দু সমাজের এইরূপ সংস্কারের প্রতি অনীহা কাজ করে।